গুরুত্বপূর্ণ উক্তি

হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)-এর কিছু অমৃত উক্তি

* একমাত্র ভক্তি ও প্রেমযোগে খোদার সান্নিধ্য হাছেল করা যায়।
* অসত্য, হিংসা ও ক্রোধকে বিদায় দিতে হইবে।
* শুষ্ক এবাদতে দেল গলে না, খোদাও মিলে না।
*যৌবনের এবাদত বড়ই মূল্যবান।
*যে বান্দাকে চিনে, সে খোদাকে চিনে।
* অন্য চিন্তা আসিলে নামাজে আনন্দ পাওয়া যায় না।
*.ঈমানকে পোখতা করিবার জন্য মুছিবত আবশ্যক, বিপদ না হইলে মানুষ তৈয়ার হয় না।
* খোদার রাহে পরিশ্রম করিলে কখনও নিষ্ফল হয় না।
* সংসারে থাকিয়া সংসারী হইয়া খোদাকে ইয়াদ করিতে হইবে।
* নিজে যতই ঠিক হইবে, আমলে ততই ফায়দা উঠাইবে।
* কৃত্রিমতার মাঝেই অকৃত্রিমকে পাকড়াও কর।
* যে নিজের ঘোড়াকে বাঁধিতে না পারে, সে কিছুই আশা করিতে পারে না।
* তকদীর আছে সত্য, কিন্তু চেষ্টা অনিবার্য।
* প্রবৃত্তির দাসত্ব করিলে দয়াল খোদা নারাজ হন।
* যে এবাদত কল্বকে স্পর্শ না করে, সে এবাদত বে-মজা।
* তোমাকেই তোমার নফ্ছকে বশীভূত করিতে হইবে।
* প্রকৃতির গুপ্ত রহস্য অনুসন্ধান করো।
* অভাব ও প্রাচুর্য্য উভয়ই খোদার দান। উভয়ই বান্দার মন পরীক্ষার জন্য মনোনীত।
* দাতাকে ছাড়িয়া কেবল দানে মুগ্ধ থাকিলে ভবিষ্যৎ অন্ধকারময় হবারই কথা।
* খোদায় আশ্রয় নিলে সকল বাধা, সকল বিঘœ অতিক্রম করা যায়।
* বিপদ না হইলে মানুষ তৈয়ার হয় না।
* নিজকে ক্ষুদ্রতম মনে করিতে হইবে এবং সকল সৃষ্টিকে ভ্রাতৃবৎ গণ্য করিতে
হইবে।
* প্রবাসীর ন্যায় আত্মা ইহলোকে সওদা করিতে আসে।
* নফসের সহিত যুদ্ধকে বড় জেহাদ বলে।
* আত্মা-জ্ঞান হইতে পরমাত্মা-জ্ঞান লাভ হয়।
* মানবের প্রকৃত মহত্ত্ব আত্মার উন্নতির দ্বারা সাধিত হয়।
* যে প্রবৃত্তির দাস, সে মানব-নামের অবাচ্য।
* বদ-মেজাজ মানুষের সকল এবাদত নষ্ট করে।
* নিন্দাবাদ শ্রবণেও পাপের ভাগী হইতে হয়।
* কৃপণতা কুফ্রীর অন্তর্গত।
* আল্লাহ যাহাকে যাহা দিয়াছেন, তাহাতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত।
* ত্যাগ ও শান্তি সমার্থ শব্দ। আত্মত্যাগের ফলেই শান্তি।
* শরীয়ত কেবল বাহ্যিক প্রক্রিয়াতে সীমাবদ্ধ। তরীকত বাহ্যিক প্রক্রিয়া অতিক্রম করিয়া অন্তর্নিহিত প্রেম
* বুদ্ধিমত্তা হইতেছে মানুষের জন্য ভালবাসা।
* স্বীয় অদৃষ্টকে ধিক্কার দিবেন না। অদৃষ্ট মানবের কৃতকর্মের পুরস্কার বা শাস্তি।
* মানুষ দেহ, মন ও আত্মার সমাহার বা সমষ্টি।
* ইছলামের নিয়ম-কানুন বিজ্ঞানের যুক্তি সম্মত।
* প্রকৃত আলেম তিনি, যিনি রূহানী তথ্যের খবর রাখেন।
* আত্ম-জ্ঞান ও পরমাত্ম-জ্ঞান একই জ্ঞানের দুইটী বিভিন্ন অবস্থা।
* মানুষের বৈশিষ্ট্য এই যে,তাহার মধ্যে রূহানী শক্তি বিদ্যমান।
* দান সম্বন্ধে জাতি ও ধর্ম্মের বিচার করা উচিত নয়।

* সাংসারিক আকর্ষণকে লঘুকৃত করাই তরীকতের উদ্দেশ্য।
* যেখানেই স্বার্থ জড়িত, সেখানেই বিবেকের সকল তাড়না চুরমার।
* সকল পুরস্কারের মূলে পরীক্ষা।
*দেহের পুষ্টি ইহলোকে ভোগ্য আর আত্মার পুষ্টি পরলোকে ভোগ্য।
* কু-কার্যের পরিণাম যাহা, কু-চিন্তারও পরিণাম তাহা।
* মঙ্গলময় হইতে কখনো অমঙ্গল আসিতে পারে না।
* যাহাদের অন্তরে প্রেম নাই, গজল তাহাদের উপর আছর করে না।
* যিনি পীরের আশেক তিনি রাছুলুল্লার আশেক, খোদারও আশেক।
* একই সময় মানুষ দুই বস্তুর আশেক হইতে পারে না।
* এবাদত করিলেই ধর্ম্ম জীবনের কর্ত্তব্য সমাপ্ত হয় না।
* জুয়া ব্যভিচারাদি শয়তানের প্রতিষ্ঠান।
* সৃষ্টির দর্পণে ¯্রষ্টাকে দেখো।
* সত্যের পথে মানুষকে আহ্বান করতে হবে কথা দ্বারা নয়, কর্মের দ্বারা।
* কার্য্যকে সংযত করা সহজ কিন্তু চিন্তাকে সংযত করা কঠিন।
* চিন্তা¯্রােতকে নিয়ন্ত্রণ করাই তরীকতের উদ্দেশ্য।
* যদি সাচ্চা থাকেন, তবে ভয়ের কোন কারণ নাই।
* ইছলাম বলিতে বুঝায় অন্তর্নিহিত প্রেমভাব ও ¯্রষ্টার উপর নির্ভরতা, ঘৃণা ও ঈর্ষার পরিহার।
* দুনিয়াটা অবিরাম শান্তির স্থান নয়।
* ঋণপাপ বড়ই খারাপ, মনের শান্তি নষ্ট করে।
* নিজরে মনকে দুশ্চিন্তা হইতে রক্ষা করুন।
* আয়াস, বাবুগিরি, অলসতা, কুসঙ্গ হইতে সর্ব্বদা দূরে দূরে থাকিবে।
* বান্দা হইয়া যদি বন্দেগী করিতে না পারি, তবে এ জীবনের আবশ্যকতা কি?
* দানকে অবহেলা করলে দাতার অসন্তোষ ভাজন হতে হয়।
* চরিত্রই প্রধান এবাদত।
* যেখানে আমিত্ব বিদ্যমান সেখানে কৃতকার্য্য সময়সাপেক্ষ।
* রূহ অতি পবিত্র বস্তু তাই প্রত্যেক দেহী মহব্বতের বস্তু।
* মানুষ সৃষ্টির সেরা। তাই তাহার সেবায় সারা বিশ^ প্রকৃতি নিয়োজিত আছে।
* শরীয়তের উদ্দেশ্য বেহেস্ত আর তরীকতের উদ্দেশ্য খোদাপ্রাপ্তি।
* দুঃখের নিঃশ^াস ত্যাগ করিবে না।
* খোদার উপর ও তাঁর হাবিবের উপর অটল ভক্তি রাখবে।
* তোমার বস্তু, তুমি যেরূপে গড়াবে, সেইরূপ গড়বে।
* ব্যয়কে পরিমিত ক’রো।
* ঋণ-পাপ বড়ই কষ্টদায়ক।
* সকল অবস্থায় নফ্সকে দমন রাখিবে। খোদার উপর দৃঢ় বিশ^াস রাখিবে।
* অর্থ আবশ্যক বটে কিন্তু কেবল অর্থ মানুষকে শান্তি দিতে পারে না।
* যতই সৃষ্টকে ভালবাসিবে ততই ¯্রষ্টার অনুগ্রহ ভাজন হইবে।
* লোকের কু দেখবে না, সু দেখবে।
* অমঙ্গলের মধ্যে বহু মঙ্গল নিহিত আছে।
* আঁধার না থাকিলে আলোকের বাহার হয় না। দুঃখ না পাইলে সুখ উপভোগ্য
হয় না।
* নিজের জন্য বাঁচা বিশেষ কিছু নহে, অপরের জন্যও বাঁচতে হবে।
* সংসারকে সুখময় করতে হবে এবাদত ও সংযম দ্বারা।


* কর্ম্ম-শক্তি সংক্রামক, দুই একটী কর্ম্মী শত শত লোকের সহানুভূতি আকর্ষণ
করতে পারে।
* নিজে বাঁচা অতি সহজ কিন্তু অপরকে বাঁচানো বড় কঠিন।
* অশ্রু মূল্যবান বস্তু, অশ্রু দিয়া খোদার দরগাহে ক্ষমা ভিক্ষা করিও।
* যে মহব্বতকে এখতেয়ার করেছে, সেই ধন্য হয়েছে।
* কর্ত্তব্যপরায়ণ থাকিয়া কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টি সাধনে যতœবান থাকিবে।
* নিজেকে বড় মনে করা মহাপাপ।
* যেখানে মহব্বত নাই, সেখানে আমিও নাই।
* অহঙ্কারকে বেড়ির মধ্যে আসিতে দিবে না।
* অহমিকা, রিয়া, হিংসা ও দ্বেষ বর্জন করিবে।
* সমাজ ও মাতৃভূমির গরিমা রক্ষা করতে হবে।
* আশ্রিত জনের অন্তরে ব্যথা দিবে না।
* কুচিন্তা হইতে, কুপুস্তক হইতে দূরে থাকিবে।
* সুমিষ্ট ব্যবহার দ্বারা কাজ আদায় করা বুদ্ধিমানের কাজ।
* খোদার উপর মহব্বত যতই ঘনীভূত হয়, এবাদাতে ততই তৃপ্তিবোধ হয়।
* আমিত্বকে বিনষ্ট করা অতি কঠিন।
* কামিনী-কাঞ্চন খোদার দান, খোদা নহে।
* যে নিজে অন্ধ, অপরকেও অন্ধকারে রাখিতে চায়।
* সাবধান তর্কবাগীশের ধোঁকায় পড়িও না।
* কু-চিন্তায় রিপুগুলি পুষ্ট হয়, আর আত্মার ক্ষতি হয়।
* ইছলামে জাতিভেদ নাই, অস্পৃশ্যতা নাই।
* মুসলিম বলিতে ত্যাগী মানুষ বুঝায়।
* ভাব কুৎসিত হইলে ভাষা কলুষিত হয়, ভাব পবিত্র হইলে ভাষা পরিপুষ্ট হয়।
* সাহিত্যের উন্নতি জাতীয় উন্নতির পরিচায়ক।
* শিক্ষাতে ভাব যত মার্জ্জিত হয়, ভাষার তত পরিশুদ্ধি লক্ষিত হয়।
* ভাবের অভাব হইলে সাহিত্যের দারিদ্র্য আইসে।
* .জাতি ও বর্ণভেদ অনুসারে ভাষার ভেদ হওয়া অযৌক্তিক।
* সাহিত্যের অভাবই সমাজের অবনতির কারণ।
* যে জাতির সাহিত্য নাই, সে জাতির আত্মসম্মান নাই।
* যে জাতির আত্মসম্মান নাই, সে জাতির উন্নতি সুদূরপরাহত।
* জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষা করিতে হইলে বাঙ্গালা ভাষার উন্নতি একান্ত আবশ্যক।
* মাতৃভাষা ও বৈদেশিক ভাষা উভয় ভাষাতে দক্ষতা লাভ আবশ্যক।
* কেবল অপরের মুখাপেক্ষী হইয়া কোন সমাজ সম্মানের অধিকারী হয় নাই।
* মনুষ্যত্ব লাভ শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য।
* মানসিক শক্তির পরিপুষ্টি শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য।
* সকল শিক্ষার উদ্দেশ্য অন্তর্নিহিত শক্তির বিকাশ ও পুষ্টি।
* জনসাধারণের অজ্ঞানান্ধকার বিদূরিত করিতে হইলে সম্যকরূপে শিক্ষা বিস্তার প্রয়োজন।
* শিক্ষার দ্বারা জ্ঞান ও চৈতন্যের বিকাশ হয়।
* জাতির প্রধান সম্প্রদায়গুলি সমভাবে উন্নত না হইলে জাতীয় জীবন সুগঠিত হইতে পারে না।
* শিক্ষা ত্রিবিধ ঃ শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক।
* বিলাসিতা ও অহংকার বান্দার পরম শত্রু।
* যে শরিয়ত জাগতিক প্রীতি ও সহানুভূতি শিক্ষা দেয় না, সে শরিয়ত অসম্পূর্ণ।
* ধর্ম্মগ্রন্থের ভাষা এবং মাতৃভাষা শিক্ষা করা অপরিহার্য।


* শিক্ষার দ্বারা জ্ঞান ও চৈতন্যের বিকাশ হয় এবং ইহা কুসংস্কারকে বহুল অংশে বিলুপ্ত করে।
* নীতিশিক্ষা ও ধর্র্ম্মতত্ত্ব পরস্পর সংলগ্ন।
* তর্কচ্ছলেও কোন ধর্ম্মের নিন্দা করা ইছলামের নিষেধ।
* তোমাদের কর্ম্ম হবে চরিত্র, আর তোমাদের অসি হবে বিবেক।
* কেবল নিজে বাঁচলে চলবে না, অপরকেও বাঁচাতে হবে।
* মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য নিজের খোদীকে দূর করতঃ খোদাতে আত্মসমর্পণ।
* ইমান একটী শক্তি বিশেষ এবং শরিয়ত উহার ফল স্বরূপ।
* প্রকৃতি আশেকের শিক্ষা ক্ষেত্র।
* মানসিক শিক্ষার সহিত আধ্যাত্মিক শিক্ষারও আবশ্যক।
* যাঁহার আমিত্ব-জ্ঞান যত প্রবল, তিনি অপরকে তত তুচ্ছ মনে করেন।
* মছিবতকে মঙ্গলপ্রসূ মনে করিবে।
* অপরের জন্য একাধারে যে কষ্ট সহ্য করে, তাহার স্থান অতি উচ্চ।
* সুযোগের জন্য প্রতীক্ষা না করিয়া, সুযোগ পয়দা করিয়া লইবে।
* পরমাত্মা-জ্ঞানের তিনটি সোপান চিত্তশুদ্ধি, প্রেমোদ্ভাস ও সাযুয্যলাভ।
* সাংসারিক মায়া অত্যধিক হলে আমাদের জীবন-তরণী ডুবতে থাকে।
* পরীক্ষাই কৃতকার্যতার অগ্রদূত।
* অভাব মোচনের জন্য পরিমিত উপার্জনের চেষ্টা করা কর্তব্য।
* ধনের অপরিমিত লিপ্সা মানুষের ঈমানকে বিনষ্ট করে।
* প্রকৃতপক্ষে বিপদ-আপদ আল্লাহ্র করুণা-মূলক শাসন।
* যাহারা পাপকে লঘু মনে করে, তাহাদের পাপ মার্জিত হয় না।
* দুইটী বস্তু মানুষকে বিনাশ করে সম্মানের লিপ্সা ও দরিদ্রতার ভয়।
* বিজ্ঞান ¯্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ করে।
* ধনের কার্পণ্য করাও যেমন দূষণীয়, ধনকে অযথা লুটানও সেইরূপ দূষণীয়।
* মাতৃভাষাতে যতই অধিকার জন্মিবে, শিক্ষার ততই পূর্ণতা হইবে।
* মুছলিম বলিতে ত্যাগী মানব বুঝায়।
* সাহিত্য সকল সভ্য জাতিরই সাধারণ সম্পত্তি।
* সুনীতি অর্জ্জন এক দিনের কার্য্য নহে, উহা অভ্যাসের ফল।
* শিক্ষার দ্বারা জ্ঞান ও চরিত্রের বিকাশ হয়।
* প্রত্যেকের বিবেক সৎ অসৎ নির্দেশ করে।
* ক্ষমাশীলের পুরস্কার প্রভুত।
* আমি ঋণকে বড়ই ভয় করি। উহাতে মনের শান্তি নষ্ট করে।
* কেবল টাকা রোজগার করাই জীবনের উদ্দেশ্য নহে। ধন ভীষণ পরীক্ষার বস্তু।
* ইহলোক ও পরলোক বিভিন্ন নহে একই লোকের ক্রমিক প্রসার।
* প্রতিদিন শয়নকালে খতিয়ে দেখবে, কতটী প্রাণীকে সন্তুষ্ট করিতে পারিয়াছ।
* যতই তুমি নিজকে নত করবে, ততই খোদা তোমাকে উন্নত করতে থাকবেন।
* মানুষ যতই অন্তরায়কে অতিক্রম করবে, ততই শান্তির অধিকারী হবে।
* কর্ম¯্রােতকে সংযত করা সহজতর কিন্তু চিন্তা¯্রােতকে সংযত করা বড়ই কঠিন।
* চিন্তা¯্রােতের নিয়ন্ত্রণের নামই তাছাউফ।
* জীবন মৃত্যু সমভাবে দেখিবে, উভয়ই মহাপ্রভুর দান।
* বেশী কঠোরতার ফল অনেক সময় অমঙ্গল হয়।
* অলস জীবন খোদার পরিত্যাজ্য।
* শত আপদ বিপদের মধ্যে ছবর এক্তেয়ার করিও।
* দেশকে ধন্য করতে হবে শিক্ষা, সততা ও ধর্মবলে।